jagannathpurpotrika-latest news

আজ, , ১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংবাদ শিরোনাম :
«» সুনামগঞ্জে অভিবাসীদের পুন:একত্রীকরনে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত «» অস্ত্রসহ কুখ্যাত দুই ডাকাত সর্দার গ্রেফতার «» প্রবাসীদের বাসায় ডাকাতি «» বিশ্বম্ভরপুরে ঘোড়া প্রতীকে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দিলীপ কুমার বর্মণের সমর্থনে বিশাল সমাবেশ «» শুধু গণিতেই ফেল ১ লাখ ৬৬ হাজার পরীক্ষার্থী : সিলেটে ৬.৩৯ % «» ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন : প্রতীক পেলেন প্রার্থীরা «» কলেজে ভর্তির আবেদন শুরুর তারিখ ঘোষণা «» ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে «» জগন্নাথপুরে হারিয়ে যাওয়া এক লক্ষ টাকা উদ্ধার করে ফিরিয়ে দিল পুলিশ «» জগন্নাথপুরে টাকা ধার দিয়ে বিপাকে, মামলায় হয়রানি



সৈয়দপুর দরগাহ জামে মসজিদ নির্মাণ- সংস্কারে সমালোচনার অবসান চাই

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ঐতিহাসিক গ্রাম সৈয়দপুর। এক সময় এই গ্রামের নাম ছিল কৃষ্ণপুর।
হযরত শাহজালাল রহঃ এর অন্যতম সফরসঙ্গী হযরত শাহ শামসুদ্দিন রহঃ কৃষ্ণপুরে আগমনে গ্রামের নাম পরিবর্তন হয়ে নাম হয় সৈয়দপুর। এশিয়ার ২য় বৃহত্তর গ্রাম সৈয়দপুরের সবাই মুসলিম।

 

প্রাচিনকালের প্রবাদ সৈয়দপুরের লয়
আলা যালা, এক ভাইয়ের মামুহউর আরেক ভাইয়ের হালা।
সৈয়দপুরের এক পরিবার আরেক পরিবারের আত্মীয়।

 

এই গ্রামের অহংকার হযরত শাহ শামসুদ্দিন জামে মসজিদ নির্মাণে আলোচনা- সমালোচনা নিয়ে আমার লেখা পড়ে আপনারা বুঝে নিবেন মুল সমস্যা কোথায়।

 

বর্তমান হযরত শাহ শামসুদ্দিন জামে মসজিদ নির্মাণ হয় প্রায় ৩৫/ ৪০ বছর আগে।

 

যখন মসজিদ নির্মাণ করা হলে ত মিনাড় যেভাবে ছিল সেভাবেই রয়ে যায়। এবং জরাজীর্ণ অবস্থা হয়।

 

বর্তমান মসজিদ কমিটি মিনাড় নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়।
যথা নিয়মে মিনাড় ভাঙ্গা হয়। মাটি টেষ্ট করে ইঞ্জিনিয়ার বলে এই যায়গায় মিনাড় করতে গেলে মসজিদে ফাটল ধরবে।

 

তখন আবার মসজিদ কমিটি বসে সিদ্ধান্ত নেয় মসজিদের বাহিরে তিন সফ নিয়ে মসজিদ নির্মাণের তখনও ইঞ্জিনিয়ার বলে এমন করলে আগের মসজিদ ভেঙে পরবে। উল্লেখ্য দুই বারের বন্যায় মসজিদ দুর্বল হয়ে যায়। তাই মসজিদ কমিটি বসে বাধ্য হয়ে সিদ্ধান্ত নেয় মসজিদ নির্মাণের। কারন এর আগে মিনাড় ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
তখন লন্ডনে কেউ কেউ সমালোচনা শুরু করেন মসজিদ নির্মাণ করলে অপচয় হবে ইত্যাদি। মসজিদ কমিটি গ্রামবাসীকে নিয়ে বসে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় মসজিদ নির্মাণের। সমালোচনা যারা করছেন তাদের জানা উচিত যে এর আগে আরো দু’বার মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত করে দুটি কমিটি।

 

১/১১/২০১৩ সালে মসজিদ তিন তলা করার সিদ্ধান্ত হয়।এই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। হাড়িকোনা থেকে
মরহুম হাফিজ মাওলানা মতিউর রহমান, হাফেজ মাওলানা ফখরুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা শাহ জাহান, মরহুম আলীনুর কোরেশি, সৈয়দ আবুল খয়ের, সৈয়দ সিদ্দিক আহমদ, ইশানকোনা থেকে সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ আফরোজ হুসেন, বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল হাসান, সৈয়দ শিলা মিয়া, ডাঃ সৈয়দ তৈফুর আহমদ, সৈয়দ আবু ছাইদ, সৈয়দ হাবিবুর রহমান হবি মেম্বার, আবু তাহের, সৈয়দ খায়রুল ইসলাম, সৈয়দ সুজা মিয়া, সৈয়দ আক্কাস মিয়া, মল্লিক ফখরুল ইসলাম, পশ্চিমপাড়া থেকে আলহাজ্ব সোনু মিয়া, সৈয়দ মবনু,
সৈয়দ সাইফুদ্দিন, গোয়ালগাও থেকে আলহাজ্ব আব্দুল কাইয়ুম, সৈয়দ সালেহ আহমদ, নোয়াপাড়া থেকে
ডাঃ সৈয়দ নুরুল ইসলাম, মাওলানা তৈফুর আহমদ, আব্দুল হামিদ, আনোয়ার খান, আগুনকোনা থেকে
আলহাজ্ব সৈয়দ মদচ্ছির মাজন, সৈয়দ লাল মিয়া,
আলহাজ্ব ছোট মিয়া প্রমুখ। এসময় উপস্থিত কালেকশন করা হলে আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হবি মেম্বার দশ লক্ষ টাকার ওয়াদা করেন। ইঞ্জিনিয়ারের কাছে গেলে আর সামনে অগ্রসর হওয়া সম্ভব হয় নি।

 

এরপর ১৯/২/২০২০ সালে লন্ডন প্রবাসী সৈয়দ খালেদ মিয়া ওলিদের আগ্রহে তখনকার মসজিদ কমিটি বসে
মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। মিটিংয়ে খালেদ মিয়া ওলিদ বলেন লন্ডনে আমি মিটিং করে আসছি যদি গ্রামবাসী অনুমতি দেয় তা হলে মসজিদ ভেঙে নতুন মসজিদ নির্মাণ ও পুকুরে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। সেই কমিটি খালেদ মিয়াকে মসজিদ নির্মাণের অনুমতি দেয়। সেই মিটিংয়ে উপস্থিত ৫৩ জনের নাম ও সাক্ষর সহ দিলাম দেখে নিবেন।

 

 

এই যে তিনি গেলেন লন্ডনে আর এ বিষয়ে আর কোনো কথা বলেন নি। এখন দেশে কয়েকজন আছেন, দেশে গিয়ে বলছেন লন্ডন থেকে তাঁদেরকে পাঠানো হয়েছে আসলে সৈয়দপুরের লন্ডন প্রবাসীরা কাউকে মসজিদ বিষয়ে দেশে পাঠাননি। আজ সাধারণ সৈয়দপুরের জনগন প্রশ্ন তুলেছে যারা ২০১৩ ও ২০২০ সালে মসজিদ নির্মাণে অগ্রণী ভুমিকা পালন করলেন, তারা কেনো এখন মসজিদ নির্মাণে প্রশ্ন তুলেছেন।

 

এর কারণ কি? আমি যদি অধম হই আপনি কেন উত্তম হবেন!

 

প্রিয় গ্রামবাসী মসজিদ আল্লাহর ঘর মসজিদ নির্মাণ অত্যান্ত সওয়াবের কাজ। এখানে ব্যক্তিগত আক্রোশ হিংসা বিদ্বেষ পরিহার করে আল্লাহর ঘর মসজিদ নির্মাণে এগিয়ে আসবেন।

 

আমার লেখায় তিন কমিটির তিন মিটিংয়ের সিদ্ধান্তে আশা করি আপনারা বুঝতে পারবেন বর্তমান মসজিদ নির্মাণ অপচয় না প্রয়োজন।

 

লেখক: এম কোরেশী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী, গ্রাম সৈয়দপুর (হাড়িকোনা), জগন্নাথপুর, সুনামগঞ্জ।

এখানে ক্লিক করে শেয়ার করুণ